Swami Vivekananda Thought | স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
কিছু মানুষ এই তার কর্ম বা তার জ্ঞানের ফলে এই পৃথিবীতে অমর হলে থাকেন !! স্বামীজি তাদের মধ্যে অন্যতম। স্বামীজির কোন কথা রেখে মানুষ তাঁর কোন গানের কথা শোনাবে। তিনি ছিলেন সাক্ষাৎ গুণের এক অফুরন্ত স্রোত।
স্বামীজির জ্ঞান, নিষ্ঠা, মানুষের প্রতি প্রেম, কর্ত্যব জ্ঞান সব ছিল অসাধারণ। তিনি নিজেকে সব সময় একজন শিক্ষার্থী বলে ভাবতেন, শেখার চেষ্টা করে যেতেন। Swami Vivekananda Thought , বিবেকানন্দের বাণী তেও বলেছেন মানুষ কে সারা জীবন কিছু না কিছু নতুন শিখে যেতে।
স্বামীজির আসল নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ১২ ই জানয়ারী ১৮৬৩ সালে কলকাতা তে জন্ম গ্রহণ করেন!! তাঁর জন্মদিন যুব দিবস হিসাবে পুরো দেশ পালন করে।
কারণ তাঁর বাণীতে তিনি সবসময় যুব সমাজ কে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছেন, তিনি নানা ভাবে যুব সমাজ কে জাগতে চেষ্টা করেছেন । তাই Swami Vivekananda quotes বিবেকানন্দের বাণী আজও যখন আমরা পড়ি আমরা উদ্বুদ্ধ হলে উঠি।
তিনি তাঁর সব প্রাপ্তি তাঁর গুরু শ্রী শ্রী পরম রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব কে দেন!! রামকৃষ্ণ দেবের সাথে সাক্ষাতের পর স্বামীজির মধ্যে জ্ঞানের সঞ্চার দেখা দেয়। তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভের মাধ্যমে সবাই কে নিজের শিষ্য বানাতে সক্ষম হলেন।
তাই আমরা আজ কিছু Vivekananda quotes , Swami Vivekananda Bani in Bengali , স্বামী বিবেকানন্দের বাণী , Swami Vivekananda Thought , Vivekananda quotes , বিবেকানন্দের বাণী কিছু সম্ভার নিয়ে আসলাম।
Swami Vivekananda Bani in Bengali | Swami Vivekananda quotes
স্বামী বিবকানন্দ এর দূরদর্শিতা তার বাণী সব কিছুই অমূল্য, তিনি যুব সমাজ কে এক নতুন আদর্শ দিতে চায়েছিলেন, মতানুসারে -
"পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে।"
স্বামীজি মানষিক শক্তির ওপর জোর দিতে বলেন তিনি বলেন -
" মানষিক যে শক্তি তা সূর্যের আলোর মতো হয় ,যখন তা এক জাইগাতে বা একটি বিন্দু তে কেন্দ্রীভূত হয় তখনই তা চকচক করে উজ্জ্বল হয় ওঠে ।। "
শিক্ষার দিকে স্বামীজী বলেছেন শিক্ষার মূল্যের কিছু কথা, উনার মতে -
" যে লোক বলে – তার জিবন এ আর শেখার কিছু নেই সে আসলে মরতে বসেছে । যত দিন তুমি বেঁচে আছো – তুমি শিখতে থাকো ।। "
তিনি নানা ভাবে যুব সমাঝ কে তার উক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত করেছেন, তিনি বলেছেন -
"আমরা যা এবং ভবিষ্যতে আমরা যা হবো, তার জন্য আমরাই দায়ী।
আমাদের নিজেদের মধ্যে শক্তি আছে,
আমাদের নিজেদের তৈরী করার জন্য।
আমরা এখন যা হয়েছি তা আমাদের অতীতের কর্মের ফল,
আমরা ভবিষতে যা হবো তা আমাদের বর্তমানের কাজেরই ফল হবে।
সুতরাং আমাদের জানতে হবে কিভাবে আমরা আমাদের কাজগুলো করব ।। "
স্বামী বিবোনন্দের কাছে শিক্ষা টা পুঁথি গত বিদ্যা না, তিনি মনে করেন -
"এটাই হল প্রথম শিক্ষা ,দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও যে বাইরের কোনো কিছুকে অভিশাপ দেবে না,
বাইরের কাউকে দোষ দেবে না, কিন্তু উঠে দাড়াও নিজেকে দোষ দাও,
তুমি নিশ্চয় একদিন বুঝতে পারবে যে নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখার জন্য এটাই হল ঠিক রাস্তা ।। "
তিনি মানুষ কে আত্বকেন্দ্রিক না হওয়ার কথা বলেছেন-
" জীবন ও মৃত্যু একটা মানবিক অবস্থার ভিন্ন নাম ।
একই টাকার এপিঠ ওপিঠ ।
উভয়েই মায়া ।
এই অবস্থাটা কে পরিষ্কার ভাবে বোঝানোর চেষ্টা নেই ।
এক সময় বাঁচবার চেষ্টা হচ্ছে আবার পর মুহূর্তেই বিনাশ বা মৃত্যুর চেষ্টা।"
তিনি প্রতিজ্ঞ হওয়ার কথা বলতে গিয়ে আরো বলেন -
"কখনো না বোলোনা ,
কখনো বোলোনা আমি করতে পারবোনা ।
তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতর আছে ,
তুমি সব কিছুই করতে পারো ।।
তিনি ছাত্র সমঝ কে ধীর ও লক্ষ্য স্থির করে কাজ করতে বলেছেন। তাই তিনি বলেন -
"একটি সময়ে একটিই কাজ কোরো এবং সেটা করার সময় নিজের সব কিছু তার মধ্যে ব্যয় করে দাও ।।
তিনি আত্ত কেন্দ্রিক লোকেদের উদ্দেশে বলেন -
"আমরা যেন নাম, যশ ও প্রভুত্ব ,
স্প্রিহা বিসর্জন দিয়া কর্মে নিষ্ঠা বান হাও ।
আমরা যেন কাম, ক্রোধ ও লোভের বন্ধন হইতে মুক্ত হয়।
তাহা হইলেই আমরা সত্য বস্তু লাভ করব ।।
জগতে যদি কিছু পাপ থাকে ,
তবে দুর্বলতায় সেই পাপ ।।
সব রকমের দুর্বলতা ত্যাগ করো ,
দুর্বলতগুলো মৃত্যু আর দুর্বলতায় পাপ ।।"
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী | Swami Vivekananda quotes | Swami Vivekananda quotes in Bengali
তিনি কর্ম কাজে ইচ্ছুক ছেলেদের মনোবল বাড়িয়ে বলেন -
"মানুষ যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চায় তাহলে পথ পাবে ; আর কেউ যদি তা না করতে চায় তাহলে অজুহাত অনেক পাবে ।।"
তিনি মানুষের চরিত্র কে সঠিক ভাবে বোঝানোর জন্য বলেন -
"যখন তুমি ব্যস্ত থাকো তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয়,
কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয় না ।।"
তিনি সব কিছুর ওপর সত্যকে বড়ো করে দেখার চেষ্টা করতেন, মতে-
"সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে ,
কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না ।।"
তিনি যুব সমাজ কে দর্য্যবান হওয়ার কথা বলে বলেন
" সফলতার আশা এক দিনে বা এক বছরে করোনা ।। সবসময় তোমার মতে শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো ।।"
তিনি বানীর দ্বারা সব সময় বোঝাতে চাইছেন যে তিনি এক জন যুগ নেতা, আর ভারতের নেতাদের কমন হওয়া উচিত -
"একটি মানুষ কে সারা সময় তার দুর্বলতার কথা মনে করানো তার প্রতিকার নয় , তার মনবালের জন্য শক্তির কথা গুলো মনে করিয়ে দেওয়া তার কাজে সাহায্য করার উপায় । তার মধ্যে শক্তি সঞ্চিতা আছে আগে থাকে , তাকে জাগিয়ে তুলতে তার প্রতিকার ।।"
স্বামীজি শুধু শিক্ষা নয়, মানুষের চরিত্র সঠিক কারার অনেক কথা বলেছেন। -
"কাপুরুষরাই পাপ কাজ করে,
মিথ্যা কথা বলে।
বীর কখনও পাপ করে না।
হে বীর হৃদয় যুবকবৃন্দ –
এগিয়ে যাও।
লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্রমশ ডুবছে,
তাদের উদ্ধার করো।
মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত
এটাই আমাদের মূলমন্ত্র।"
স্বামীজি ধর্ম সম্পর্কে আলোচনাতে বলেন -
যদি তুমি খ্রিষ্টের মতো ভাব তুমি তখন একজন খ্রিষ্টান,
যদি তুমি বুদ্ধের মতো ভাব তুমি একজন বৌদ্ধ ।
ভাবনা, অনুভূতিই তোমার জিবনশক্তি ,
যতই চেষ্টা করো, বুদ্ধি দিয়ে কাজ করো, এগুলি ছাড়া ভগবানের দর্শন মেলেনা।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.